হাসপাতালের সড়ক নির্মানে অনিয়ম


নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৬ জুলাই।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরের প্রবেশ সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংস্কার কাজে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং পরিমান মতো সিমেন্ট, পাথর ও ইটের খোয়া দেয়া না হবার কারণে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই খোয়া উঠে যেতে শুরু করেছে। কাজের শুরুতে কাজের মান ভালো না হওয়ায় পূর্বের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জনগণ কাজে বাধা প্রদান করেন। কয়েকদিন পরেই ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ আবু শাহীন প্রমোশন নিয়ে চলে গেলে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। এলাকাবাসি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করে এর আসল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরের প্রবেশ সড়কে দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় বর্ষায় সময় সড়কে পানি জমে জনগণের ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখের প্রধান গেটের সামনে পানি জমে যাওয়ায় জনগণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হত। সরকার কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতাল ভবনের প্রবেশ সড়ক সংস্কার কাজে এমওএইচএফডব্লিউ/এইচটিডি/জেডি/ওপি-আরইপিএআইআর/ডিইভি/ ডব্লিউও/২০১৯ডিইটিইডি-২৪/৩/২০১৯ নং কার্যাদেশ স্মারকে ১৩ লাখ ১৯ হাজার ২৯০ টাকা ১৭৫ পয়সা বরাদ্দ দেয়। চলতি বছরের মে‘র শেষের দিকে কাজ শুরু করে ২৪/৬/১৯ তারিখের মধ্যে শেষ করার শর্তে কাজটি পান ঝিনাইদহের হিরাডাঙ্গার মেসার্স কনা এন্টারপ্রাইজ। ওই ঠিকাদার কাজ শুরুর প্রথম থেকেই নিন্ম মানের খোয়া, সিমেন্ট ও বালু মওজুদ করতে থাকে। এ সময় সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনগণ কাজে বাধা দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার দাবি জানায়। কিন্তু ঠিকাদার এর কোন কর্ণপাত না করেই নিন্ম মানের রড বুনে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। এ সময় অনেক রোগী ও তার স্বজনরা রডে বেধে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার খবরও রয়েছে।
গত ২৪ জুন ওই ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে শুধু নিন্মমানের খোয়ার সাথে সিমেন্ট, বালু মিশিয়ে আরসিসি ঢালায়ের কাজ সমাপ্ত করেন। এলাকাবাসির অভিযোগ, খোয়ার সাথে পাথর কুচি না দেয়ার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরের প্রবেশ রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাজের র্দুনীতির খবর পেয়ে উপজেলা র্নিবাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে গিয়ে ভালো মানের খোয়া, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার কথা বলেন। তারপর ঠিকাদারের লোকজন যেনতেনভাবে রাতভর কাজ করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে। রডের নিচে পরিমানমত ব্লক না দিয়েই ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই খোয়া উঠে যেতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) যশোর নড়াইল অঞ্চলের সহকারি প্রকৌশলী তানজিলা ফেরদৌসী বলেন, আমি ৫ গাড়ি পিকেট খারাপ পেয়েছিলাম। যা ঠিকাদারকে কর্মস্থল থেকে সরিয়ে নিতে বলি। ২৪ জুন কাজ শেষ হয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে কাজ ভালো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ওই কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেয়ার জন্যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা কাজ দেখভাল করেছেন। এছাড়া সহকরি প্রকৌশলীও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

কবির হোসেন
কেশবপুর
০১৭১১-২৫০৩৫৬