ধীরাজ ভট্রাচার্য ও মাথিন


যশোরের পাঁজিয়া গ্রামে গেলেই মনে পড়ে ধীরাজ ভট্রাচার্যের নাম। গিয়েছিলাম গত শনিবার সামান্য সময়ের জন্য। পাঁজিয়ার সাধারণ মানুষ ধীরাজ ভট্রাচার্যের সঙ্গে সঙ্গে মাথিনের নাম উচ্চারণ করেন।(মাথিন নিয়ে লিখব আর একদিন)।

ধীরাজের অভিনয়, সাহিত্যিক হিসাবে খ্যাতি-এসব কিছুর পাশপাশি তাঁর জীবনের বিয়োগান্তক দিকগুলো যেন অনেক বেশি রেখাপাত করে আছে তাঁদের মনে। পাঁজিয়া থেকে জীবনের শেষ প্রস্তানে কলকতা ফিরে যাবার সময় ধীরাজ ভট্রাচার্য লিখেছেন-‘‘ মানুষ থাকে না, শুধু থাকে তাঁর নাম/ এইটুকু সান্তনা, তাই লিখিলাম।’’

ধীরাজ ভট্রাচার্য গতায়ূ হয়েছেন ৬৩ বছর। তিনি নেই সত্যি, কিন্তু তাঁর নাম আছে। মাথিনের কাছে দেয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার জন্য হয়তো তিনি নিন্দিত। কিন্তু তিনিও যে সারাজীবন এ নিয়ে অপরাধবোধে ভোগেননি, তা কে বলতে পারে? সব ট্রাজেডিই তো মহান, যা মানুষ কখনই ভোলে না।

নিজের সৃস্টির মধ্যেই ধীরাজ ভট্রাচার্য বেঁচে থাকবেন। তা সত্ত্বেও তাঁর নাম চির অম্লান থাকার পিছনে হতভাগী মাথিনের অবদান কম নয়। পাঁজিয়ার একজন স্কুল শিক্ষক বললেন-‘ধীরাজ তাজমহল গড়েননি। মাথিনও নয়। কিন্তু তাদের প্রেমের ইতিহাস মহীয়ান হয়ে আছে, থাকবে কাল থেকে কালান্তরেও।’-সাজেদ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক।